সর্দি-কাশি কমাতে তুলসী চায়ের উপকারিতা? কাদের জন্য এই চা ক্ষতিকর হতে পারে

অনেকে জানেনা তুলসী পাতার চা খেলে কি হয়? এই তুলসী পাতার চা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। চলুন, তুলসী পাতা চা খেলে আমাদের কি উপকার হবে সে সম্পর্কে জানা যাক।
সর্দি-কাশি কমাতে তুলসী চায়ের উপকারিতা? কাদের জন্য এই চা ক্ষতিকর হতে পারে
আমাদের প্রায় সবার ঠান্ডা কাশি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে ঠান্ডা কাশির ওষুধ না খেয়ে, যদি তুলসী পাতার চা খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তাই তুলসী পাতার চা খেলে কি হয়? সম্পর্কে জানতে পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃসর্দি-কাশি কমাতে তুলসী চায়ের উপকারিতা? কাদের জন্য এই চা ক্ষতিকর হতে পারে

তুলসী পাতার চা খেলে কি হয়

অনেকের ঠান্ডা কাশি হলে সাধারণত তুলসী পাতার চা খেয়ে থাকে। তাই তুলসী পাতার চা খেলে কি হয়? সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

তুলসী পাতা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধির নিরাময়ের জন্য কাজ করে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই এই তুলসী পাতার মাধ্যমে মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা করেছে। বিশেষ করে ঠান্ডা কাশি কমানোর জন্য তুলসী পাতা ভালো কাজ করে থাকে। তবে তুলসী পাতা চায়ের সাথে মিক্সড করে যদি খেতে পারেন, তাহলে আপনার সর্দি কাশি ঠান্ডায় অনেকটা উপকার পাবেন। তুলসী পাতার মধ্যে যে উপাদান গুলো আছে, তা শ্বাসকষ্ট এবং ঠান্ডা কাশি দূর করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া হাঁপানি ব্রংকাইটিস এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
তুলসী পাতার চা খেলে কি হয়

তুলসী পাতা রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ভালো কাজ করে থাকে। যাদের রক্তের শর্করা মাত্রা বেশি রয়েছে,তারা তুলসীপাতার চা খেতে পারেন। তাছাড়া এটা কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের বিপাককে আরো সহজ করতে ভালো কাজ করে থাকে। দাঁত ও মৌখিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে, তুলসী পাতার মধ্যে এন্টি মাইক্রোবিয়াল থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এই তুলসী পাতার চা যদি আপনি নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন। তাহলে মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু দূর করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া তুলসী পাতার চা মাউথ ফ্রেশ্নার এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।

বাত ব্যথার রোগীদের জন্য তুলসী পাতার চা অনেক উপকার করে থাকে। তাই যারা বাত ব্যথায় ভুগতেছেন তারা এই তুলসী পাতার চা নিয়মিতভাবে খেতে পারেন। কারণ এর মধ্যে থাকে এন্ট্রি ইনফ্লামিটারি গুনাগুন, যা আপনার জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই যারা আর্থাইটিস আক্রান্ত আছেন তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটা ব্যবহার করতে পারেন। তাই যাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা রয়েছে তারা এই তুলসী পাতার চা নিয়মিতভাবে খেতে পারেন, আশা করি অবশ্যই সকল ধরনের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করবে।

তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

তুলসী পাতার গুনাগুন সম্পর্কে অনেকেই জানে কিন্তু তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তা না হলে ক্ষতি হতে পারে, তাই এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো;

তুলসী পাতা বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা কাশির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তবে তুলসী পাতা নিয়ম সম্পর্কে জেনে খেলে তাহলে উপকার ভালো পাওয়া যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো, একটি পাত্র নিবেন তার মধ্যে গরম পানি নিতে হবে এবং সেখানে আদা কুচি করে, তুলসী পাতা ও দারুচিনির গুড়া নিবেন। যদি এটা মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে ঠান্ডা কাশি দূর হয়ে যাবে। তুলসী পাতার সাথে এক টুকরো আদা পাটায় বেটে নিতে হবে এবং এই পেস্টটি দিনে দুইবার খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তুলসী পাতার সাথে মধু মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে, এতে উপকার পাওয়া যায়।

তুলসী পাতার মধ্যে গুড় মেশাতে পারেন এবং এটা আপনি যদি খেতে পারেন, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। এই মিশ্রণটি নিয়মিতভাবে শিশুদের খাওয়ানো যাবে। নিয়মিত ভাবে যদি আপনি এই উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের সর্দি কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাই আপনার পরিবারে ছোট থেকে শুরু করে সবার যদি ঠান্ডার সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে নিয়ম অনুযায়ী তুলসী পাতা খেতে পারেন, এতে অনেক উপকার পাবেন।

তুলসী পাতা ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধু ও তুলসী পাতা দুটোই প্রাকৃতিক উপাদান। তাই আমাদের শরীরে উপকার করে থাকেন, এজন্য মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

তুলসী পাতা ও মধুর মধ্যে আছে পুষ্টি ও ভিটামিন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে। তুলসী ও মধুর মধ্যে এমন উপাদান আছে, যা ঠান্ডা কাশি থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। আপনার যদি অনেকদিন যাবত কাশি হয়, সে ক্ষেত্রে কাশি কমানোর জন্য মধু তুলসী পাতা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার কাশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তাছাড়া এটা শ্বাসকষ্টের অনেক উপকার করে থাকে। তুলসী পাতা ও মধুর মধ্যে আছে অ্যান্টিসেপটিক যা ত্বকের এলার্জিজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।


মধু ও তুলসী পাতার মধ্যে থাকে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষের অকাল বার্ধক্যকে দূর করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি তুলসী ও মধু মিশ্রিত করে খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে কিডনির পাথর দূর করতে সাহায্য করবে এবং কিডনির বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিতে পারবে। কিডনিকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন। হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে তুলসী পাতা ও মধুর মাঝে এমন উপাদান আছে, যা মাত্রা কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যার কারণে হৃদপিণ্ড ভালো থাকবে।

তুলসী চা বানানোর পদ্ধতি

তুলসী পাতা খেলে যে উপকার পাওয়া যায়, এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু তুলসী চা বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকে জানে না। তাই নিম্নে তুলসী পাতার চা বানাবেন কিভাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো;
এক বাটি পানি গরম করবেন এর মধ্যে একমুঠো তুলসী পাতা দিয়ে পানিটুকু ফুটিয়ে নিতে হবে। যখন পানি ভালোভাবে ফুটে যাবে তখন চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে, কমপক্ষে ১০ মিনিটের মত পানিটুকু ফুটাতে হবে, ২চামচ মধু দিতে পারেন, লেবুর রস, মধু দিলে এর ভিতর অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে এবং লেবুর রসের মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। তুলসী পাতার গুনাগুন থাকার কারণে এটা সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করবে। নিয়মিত যদি এই তুলসী পাতা খাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করবে।

শুকনো কাশি যদি থাকে সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার সাথে ধনে ও আদা মিশিয়ে খেতে পারবেন। যা হোক চলুন, এই তুলসী পাতার চা কিভাবে বানাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এক লিটার পানিকে জাল করবেন, দুই চামচ আদা কুচি করে নিবেন, চার চামচ ধনে এক মুঠো তুলসী পাতা নিয়ে হালকা আঁচ দিবেন, পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। খেয়াল করতে হবে পানি যেন অর্ধেকের মত কমে যায়। এরপরে পানিটুকু ছেকে নিতে হবে। তারপর মধু ও লেবু মিশাতে পারেন, এর মধ্যে এলাচির গুড়াও দিতে পারেন।

তুলসী পাতার অপকারিতা

এতক্ষণে আমরা জেনেছি তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা সম্পর্কে। এখন জানবো তুলসী পাতা কি ক্ষতি করতে পারে সে সম্পর্কে। চলুন, নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক,

তুলসী পাতাকে বিভিন্ন ধরনের রোগের ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে কিন্তু এই তুলসী পাতার আবার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। চলুন, সে সম্পর্কে জানা যাক। গর্ভবতীর জন্য ক্ষতিকর তুলসী পাতা গর্ভবতীর জন্য ক্ষতি হবে। বিশেষ করে তার বাচ্চার ক্ষতি বেশি হতে পারে। অনেক সময় অনেকের বাচ্চা গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে। যা জরায়ুর সংকোচনের কারণ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এছাড়া তুলসী পাতা রজঃ চক্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অনেকের ডায়রিয়া ও দেখা দিতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলসী পাতা রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসে। যদি কেউ ডায়াবেটিসের ওষুধ বা ইনসুলিন নিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে পাশাপাশি এই তুলসী পাতা খেয়ে থাকে। তাহলে তুলসী পাতার চা যদি খায় তাহলে রক্তের শর্করার মাত্রা এত কমে যাবে, এতে বিপদজনক সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তের ঘনত্ব হ্রাস করে। এই তুলসী পাতা যদি কেউ নিয়মিত খায়, তাহলে তার রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। যারা রক্ত পাতলা করার জন্য ওষুধ খাবেন না, তারা এই তুলসী পাতা নিয়মিতভাবে খাবেন না। যারা ইতোমধ্যে রক্ত পাতলা করার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন। তারা ভুলেও এটা খাবেন না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী যারা নিয়মিতভাবে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে থাকেন। তারা যদি নিয়মিত ভাবে তুলসী পাতা খায় তাদের যকৃত ক্ষতি হতে পারে। কারণ এমনিতে সে ব্যথার ওষুধ খাচ্ছে আবার তুলসী পাতা খাওয়ার কারণে ব্যথা কমে যায়। তাই দুটোই ব্যথার ওষুধ হওয়ার কারণে যকৃতের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দাঁতে দাগ তুলসী পাতা সাধারণত চিবিয়ে না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। সরাসরি খাবার ভালো গিলে খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে, এ সম্পর্কে গবেষণা করে দেখা গেছে যে তুলসী পাতার মধ্যে থাকে লৌহ থাকার কারণে এই তুলসী পাতা চিবালে দাঁতে দাগ হয়ে যায়।

তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়

অনেকে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পছন্দ করে কিন্তু এতে ক্ষতি রয়েছে। তাই তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়? নিম্নে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো;

তুলসী পাতার মধ্যে উচ্চমাত্রায় পারদ ও আয়রন থাকে। যা তুলসী পাতার পাতা চিবানোর কারণে বের হয়। এর মধ্যে খনিজ পদার্থ থাকার কারণে দাঁতের ক্ষতি হয়, প্রাকৃতিকভাবে তুলসী পাতার মধ্যে কিছু পরিমাণ অ্যাসিড থাকে। যা মুখকে ক্ষারীয় করে তুলতে পারে। তাই তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া ঠিক হবে না। আবার বেশি পরিমাণে তুলসী পাতা খেলে দাঁতের ময়লা পরিষ্কার হয়ে থাকে। তুলসী পাতার রস, মুখের আলসার প্রতিরোধ করতে পারে কিন্তু তুলসী পাতা কাঁচা চিবানো খাওয়া থেকে বিরত থাকা লাগবে। তারপরও মানুষ সাধারণত তুলসী পাতার রস খেতেই বেশি পছন্দ করে থাকে। যা অনেক কার্যকারী হয়ে থাকে।

যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হবে, জীবাণুর সাথে লড়তে পারে এবং চর্মরোগ জনিত সমস্যাগুলো দূর করতে পারবে। শরীরের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, তুলসী পাতা অন্য উপায়ে যদি খান অর্থাৎ তুলসী পাতা কাঁচা চিবিয়ে যদি খান, এক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই তুলসী পাতা চিবিয়ে না খেয়ে তুলসী পাতার চা বানিয়ে খেতে পারেন অথবা তুলসী পাতার রস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, সাধারণ ঠান্ডা কাশি দূর হবে। তাই এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত ভাবে তুলসী পাতার রস খেতে পারেন।

তুলসী পাতার ব্যবহার

তুলসী পাতা আপনি নিয়ম অনুযায়ী খেলে অনেক উপকার পাবেন। তাই তুলসী পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আপনার জানার প্রয়োজন। নিম্নে তুলসী পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো;
আপনার যদি পেটের সমস্যা হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ টি তুলসীপাতা নিয়ে তার সাথে অল্প পরিমাণ জিরা নিয়ে পাটাতে পিষে নিয়ে খেতে পারেন। এতে পাতলা পায়খানার সমস্যা দূর হবে। আপনার যদি জ্বর হয় সেক্ষেত্রে তুলসী পাতা গোলমরিচ, মিশিয়ে পানির মধ্যে সিদ্ধ করে দিনে ৩ থেকে ৪ বার খেতে পারেন, তাহলে জ্বর অনেকটা কমে যাবে। যদি কাশি না কমে সেক্ষেত্রে তুলসী পাতা মধু ও সামান্য আদা পিষে রস বানিয়ে খেতে পারেন এতে কাশি দূর হবে। আপনার শরীরে কোথাও যদি ঘা হয়ে থাকে তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি মিশিয়ে পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগাবেন সেরে যাবে।


আপনার শরীরের কোথাও যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসী পাতা ও নারকেলের তেল মিক্সড করে নিয়ে পোড়া স্থানে লাগাবেন। এতে দ্রুত সেরে যাবে এবং জ্বালাপোড়া কমে যাবে ও পোড়া দাগও দূর হয়ে যাবে।আপনার দীর্ঘদিনের যদি চর্মরোগ থাকে সেক্ষেত্রে তুলসীপাতার সাথে দুর্বা ঘাস মিশিয়ে বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগাবেন দেখবেন তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। কখনো যদি দেখেন মাথা ঘুরাচ্ছে এবং বমি বমি লাগছে তাহলে তুলসী পাতার রস এবং কয়েকটি গোলমরিচ মিক্সড করে খেতে পারেন, তাহলে এই সমস্যা দূর হবে। অনেকে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন চোখ ওঠা, চোখ দিয়ে ময়লা আসা।

তাই তুলসী পাতার রস এর সাথে পানি মিশিয়ে সকাল বেলা চোখ ধুয়ে ফেলবেন দেখবেন এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। যদি আপনার প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে, তাহলে তুলসী পাতা ও দুধ এবং পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন, এতে প্রসাবের জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে যাবে। আপনার ত্বকের কোথাও যদি দাদ হয় তাহলে তুলসী পাতার সাথে লবণ পিষে মিক্সড করে আক্রান্ত স্থানে লাগাবেন, অতি দ্রুত দাদ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার মুখে যদি বসন্তের দাগ অথবা শিশুদের হামের দাগ যদি থাকে তাহলে তুলসী পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে দিতে পারেন, তাহলে এই দাগ দূর হয়ে যাবে।

শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে তুলসী পাতার গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। তুলসী পাতার রস বিভিন্ন উপায় আপনি খেতে পারেন, এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ঠান্ডা জনিত সমস্যাগুলো ভালো কাজ করে থাকে। তাই আপনি নিয়মিত ভাবে তুলসী পাতার রস দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। কেননা তুলসী পাতার চা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে সুন্দরভাবে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনার উপকার হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url