গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয় ও এর পুষ্টি গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
গর্ভবতী মায়েদের এই সময় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। তাই গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে জানলে আপনার পুষ্টি পূরণ হবে। চলুন, কিভাবে কালোজিরা খেলে আপনার শরীরে উপকারিতা হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

তবে অতিরিক্ত যদি আপনি কালোজিরা খেয়ে ফেলেন সেই ক্ষেত্রে বড় ধরনের রোগ ব্যাধি হতে পারে। এমনকি স্ট্রোকের সম্ভাবনাও থাকে, তাই গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয় ও এর পুষ্টি গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়
- ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
- প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
- কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস
- কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়
- দৈনিক কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত?
- কালোজিরা কিভাবে খাওয়া উত্তম?
- কালোজিরা কি গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে?
- কালোজিরা খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন?
- সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়?
- শেষ কথা
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়
কালোজিরা অত্যন্ত প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকেন। তাই গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন তা না হলে ক্ষতি হতে পারে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্টিগুণঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ইত্যাদি রয়েছে। তাছাড়া এর মধ্যে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট এবং এন্টি অক্সিডেন্ট সহ ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে। চলুন, এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মেধা শক্তি বৃদ্ধি করেঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত গর্ভস্থ শিশুর মেধা শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে এটি খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে যে অ্যান্টিসেপটিক ও এন্টিবায়োটিক উপাদান থাকে, তা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে থাকে এবং মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বাড়াতেও ভালো কাজ করে থাকে। তাই পরিমাণ মত উপাদানটি খাওয়া যেতে পারে।
হজমের সমস্যা সমাধানঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত গর্ভবতীদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেকের পেট ফাঁপা দেওয়া, পেট খারাপ হওয়া ইত্যাদি ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে।
মাথা ব্যাথা দূর করেঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত বেশি সময় মাথা ব্যাথা করে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা করে থাকে। এ ধরনের ব্যথা দূর করার জন্য আপনি কালোজিরা খেতে পারেন এবং কালোজিরার তেল ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
গর্ভবতী মায়েদের উপকারঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত শিশু জন্মের পরে যেন পর্যাপ্ত পরিমান বুকের দুধ পায়, সেজন্য ঘরোয়া উপায়ে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া যেতে পারে। এতে সন্তান পরবর্তীতে প্রচুর পরিমাণে বুকের দুধ পাবে এবং শিশুটি পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে, যার কারণে তার দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটবে। তাই নিয়মিত ভাবে গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে।
লিভারের সমস্যা দূর করেঃ যাদের লিভার এবং জন্ডিসের সমস্যা রয়েছে, তারা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেছেন কিন্তু একবার এটা খেয়ে দেখতে পারেন। এতে আপনার অনেক উপকার হবে। বিশেষ করে জন্ডিস থেকে মুক্তি পাবেন, এছাড়া লিভারকে ভালো রাখার জন্য কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত গর্ভবতীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে। যার কারণে তাদের বড় ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ভাইরাস, ব্যাক্টরিয়া আক্রমণ করতে পারে। এজন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারবে।
রক্ত সঞ্চালনঃ গর্ভবতী মায়েদের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করার জন্য এবং দ্রুত করার জন্য নিয়মিতভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তার মধ্যে আপনি কালোজিরা খেতে পারেন। কেননা এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে এবং আপনার স্মৃতিশক্তি ও বাড়িয়ে দিতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধিঃ অধিকাংশ গর্ভবতীদের সাধারণ লো প্রেসার দেখা যায়। যার কারণে তাদের শরীর দুর্বল লাগে আর এই ধরনের লো প্রেসার থেকে বাঁচার জন্য আপনি কালোজিরা খেতে পারেন। কেননা শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। তাছাড়া নিম্ন রক্তচাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে এবং স্বাভাবিক রক্ত চাপে নিয়ে আসবে। তাই কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ অনেক গর্ভবতীর সাধারণত ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যা যদি দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে আপনি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পরিমাণমত কালোজিরা, এক গ্লাস পানির মধ্যে মিশিয়ে নিবেন এবং সকাল-বিকাল খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করবে। যার কারণে আপনার শরীরে ডায়াবেটিসের সমস্যা হবে না।
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগ নিরাময়ঃ গর্ভাবস্থায় যদি শ্বাসকষ্ট হয় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়া অনেকের সমস্যা হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে কালোজিরা খেতে পারেন এবং সামান্য পরিমাণ বেটে এটা একটি কাপড়ের মধ্যে পুটলি বানিয়ে না খেয়ে শুকলে হাচি কাশিটা অনেকটা কমে যায়।
বুকের দুধ বৃদ্ধিতেঃ যে সকল মায়েদের সাধারণত বুকের দুধ কম হয়ে থাকে, তারা এই উপাদানটি খেতে পারেন। তাই প্রতি রাতে ১ চামচ কালোজিরা দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।
ত্বকের তারণ্য ধরে রাখবেঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত ত্বকে বিভিন্ন ধরনের দাগ ও মেছতা এবং ব্রণ উঠে থাকে। যার কারণে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়ে কিন্তু দেখা যায় শরীরে যত্ন না নেওয়ার কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে, কেননা এর মধ্যে ফ্যাটি এসিড থাকে যা আপনার ত্বকের তারণ্য রক্ষা করতে পারবে।
চুল পড়া বন্ধ করেঃ অনেক গর্ভবতীর সাধারণত এ সময় প্রচুর পরিমাণ চুল পড়ে থাকে। আর এই চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি লেবু দিয়ে মাথার গোড়ালি ভালো করে ম্যাসাজ করতে পারেন। এরপরে শ্যাম্পু দিয়ে ধূয়ে ফেলতে হবে, তারপরে শুকানো হয়ে গেলে মাথার মাঝখান বরাবর কালোজিরার তেল মালিশ করা লাগবে। এভাবে ১ থেকে ২ সপ্তাহে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
সর্দি কাশি দূর করাঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে ঠান্ডা কাশি হয়ে থাকে। এ নিয়ে টেনশন করার কিছু নেই সাধারণত যে ওষুধগুলো থাকে এগুলো খাওয়ালে সুস্থ হয়ে যাবে, তাছাড়া সকাল বিকাল কালোজিরা এর সাথে হালকা পরিমাণ মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অথবা চায়ের সাথে মিশানোর পরে এই উপাদানটি খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া আপনি কালোজিরার সাথে তুলসী পাতা মিশ করে খেতে পারেন।
দাঁত ব্যথা নিরাময়ঃ গর্ভাবস্থায় যদি আপনার দাঁতের ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রে হয়তো কোন এন্টিবায়োটিক বা ওষুধ খাওয়া নিষেধ থাকতে পারে। এজন্য আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে অল্প একটু লবণ দিবেন এবং কালোজিরা দিয়ে কুলি করতে পারেন। এতে আপনার দাঁতের মাঝখানে ব্যথা দূর করা যাবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ গর্ভাবস্থায় যদি পরিমাপের অতিরিক্ত ওজন হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি হওয়া কঠিন হয়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্য পরিশ্রম করতে হবে এবং নিয়মিত ভাবে কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার ভালো ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করবে এবং পেটের ভিতরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো বের করে দিয়ে সুস্থ করে দিবে।
কিডনির সমস্যা দূর করেঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যার কারণে আপনার শরীরের কিডনি কে ভালো রাখবে। তাই কালোজিরা নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন এতে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
মানসিক চাপ কমাতেঃ গর্ভাবস্থায় যদি মানসিক টেনশনে বেশি থাকা হয় তাহলে গর্ভস্থ শিশুর বিশাল বড় ক্ষতি হতে পারে এবং বাচ্চা অনেক সময় প্রতিবন্ধী দেখা দিতে পারে ।এজন্য কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। যা আপনার শরীরের মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
ব্রণ সারাতে পারবেঃ যাদের ত্বকে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে এবং ব্রণ উঠে থাকে সে ক্ষেত্রে ব্রণের স্থানে এর তেল ব্যবহার করলে অনেক ভালো কাজ করবে। এজন্য আপনি কালোজিরা তেল ব্যবহার করতে পারেন এবং বিভিন্ন ধরনের লোশন পাওয়া যায়। সেটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন, এছাড়াও ব্রণ কমাতে আপনার কালোজিরার লোশন ব্যবহার করতে পারেন এতে প্রতিক্রিয়া কম থাকে।
মেদ কমানোর জন্যঃ অনেক গর্ভবতীর সাধারণত চর্বি বা মেদ দেখা যায়, এতে করে বিশাল বড় ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় সাধারণত মেদ বা ভুড়ি বেশি করা যাবে না, যদি সিজার করানো লাগে সে ক্ষেত্রে সেলাই করতে অসুবিধা হবে। তাই প্রাকৃতিক উপাদানে মেদ বা ভুড়ি কমানোর জন্য কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে।
ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
যারা প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমাতে চান, তাদের ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে ওজন কমাতে পারবেন। চলুন, কিভাবে কালোজিরার মাধ্যমে ওজন কমাবেন জেনে নেওয়া যাক
এটি একটি প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুন আছে। তাই ওজন কমানোর জন্য এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়ার কিছু নিয়ম বা পদ্ধতি আছে সে সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপনার যদি ঘনঘন সর্দি কাশি লেগে থাকে সেই ক্ষেত্রে এই উপাদানটি খেতে পারেন, এতে করে আপনার শরীরে সর্দি কাশি দূর হয়ে যাবে। এজন্য অল্প পরিমাণ এই দানাগুলো নিবেন এবং এটা ভর্তা করে খেতে পারেন।
আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য এটা খেতে চান সেই ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে অল্প পরিমাণ করে প্রতিদিন খেতে হবে। তাহলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ওজন কমছে কিনা। কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার শরীরের মেদ, ভুড়ি ও ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
এছাড়া অন্যান্য খাবারের সাথে এটি অল্প পরিমাণ মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে করে স্বাদ পাবেন এবং পুষ্টি হবে। তাই যে সকল গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে যার কারণে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। তারা কালোজিরা খেতে পারেন। কেননা এটা প্রাকৃতিক একটি উপাদান যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
কুসুম গরম পানির মধ্যে লেবুর রস নেবেন এর ভিতর কয়েকটি এর দানা মিশিয়ে নেওয়ার পর ১ চামচ মধু দিতে পারেন। এই মিশ্রণটি নিয়মিত ভাবে খেলে আপনার ওজন কমবে। এছাড়া হালকা গরম পানির মধ্যে কালোজিরার গুড়ো করে অল্প পরিমাণ দিতে পারেন, পাশাপাশি লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে ১ সপ্তাহ খেয়ে দেখতে পারেন আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
এর কিছু দানা একটি বাটির মধ্যে নিবেন এরপরে লেবুর রস দিয়ে ভিজে নিতে পারেন। তারপরে রোদে শুকাতে পারেন, এরপরে দিনে দুইবার অল্প কয়েকটি দানা নিয়ে খেতে পারেন। দেখবেন আপনার চর্বি কমতে শুরু করেছে।
এছাড়া আপনি যদি কোন সবজি খেতে পছন্দ করেন সে ক্ষেত্রে সবজির ভিতরে এর কয়েকটি দানা দিতে পারেন। এতে আপনার পুষ্টি বৃদ্ধি পাবে এছাড়াও ওজন কমতে সাহায্য করবে। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। তবে গর্ভবতীর ক্ষেত্রে যদি অসুবিধা হয় তাহলে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এরপরেও যদি কালোজিরা খেতে চান তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
অনেক গর্ভবতী বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারে না। তাই কালোজিরা খেতে পছন্দ করে। তাই গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে, তা না হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কিভাবে এটা খাবেন চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সকালবেলা যদি খালি পেটে খেতে চান সেক্ষেত্রে ১ চামচ পরিমাণ নিয়ে অল্প অল্প করে চিবিয়ে খেতে থাকবেন। দেখবেন শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়াও এর ভিতর প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। তাই গর্ভবতী মায়েদের যেহেতু এই সময়ে হজমের সমস্যা হয়ে থাকে, তাই কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া এটা আপনার মেটাবলিজম উন্নত করবে।
অল্প পরিমাণ এই দানা নিয়ে তেলে ভেজে নিতে পারেন, এরপরে অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন সালাদ অথবা রুটির সাথে মিশানো যেতে পারে। এতে অনেক সুস্বাদু হবে এবং পুষ্টিও পাবেন। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা এভাবে তৈরি করে ও কালোজিরার ভর্তা বানিয়ে খেতে পারেন।
এর গুড়ো মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে আপনার সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হবে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের যেহেতু এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেতে নিষেধ করা হয়। তাই এই কালোজিরা উপরোক্ত পদ্ধতিতে খেতে পারেন, এতে আপনার সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হবে।
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
কালোজিরা একটি পুষ্টিকর খাদ্য যা শরীরে অনেক উপকার হয়। তবে প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়? যদি আপনি পরিমাণে বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার সমস্যা হবে। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাই যে কোন খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা থাকতে হবে। যে কোন খাবার নিয়ম ছাড়া খাওয়া যাবেনা, এতে আপনার ক্ষতি হবে। তাই কালোজিরা যদি অতিরিক্ত খাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে আপনার পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে, ডায়রিয়া হতে পারে। এছাড়াও বমি বমি ভাব হতে পারে, তাই অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া যাবে না।
যদি আপনি প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণ এটি খান সেক্ষেত্রে আপনার ত্বকের জ্বালাপোড়া করবে এবং ত্বকের র্যাশ উঠতে পারে। এছাড়াও পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অনেকের পেট ফাঁপা দিতে পারে, পেটে অস্বস্তিকর সমস্যা হতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েরা এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি কালোজিরা খাওয়ার পরে গ্যাস্ট্রিকের বা উপরোক্ত এই সমস্যাগুলো দেখা যায় তাহলে বন্ধ করতে হবে।
গর্ভবতী মায়েরা যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে তাহলে ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব অথবা অনেক গর্ভবতী মায়ের অকাল গর্ভপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি তিন মাসের গর্ভবতী হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাবেন না, তিন মাস পরে অল্প পরিমাণে খেতে পারবেন।
ত্বকের জ্বালাপোড়াঃ যাদের পূর্বে থেকেই এলার্জির সমস্যা এবং ত্বকে জ্বালাপোড়া করে থাকে। তারা অল্প পরিমাণ এই কালোজিরা খাবেন। কেননা অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি দেখা দিতে পারে। প্রথমে অল্প পরিমাণ খেয়ে দেখবেন যদি আপনার এলার্জির সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে কালোজিরা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
বুকে জ্বালাপোড়াঃ আপনি যদি কালোজিরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রে আপনার পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে, বুকে জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই কালোজিরা খাওয়ার পর অসুবিধা হলে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষ করে গর্ভবতী ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কিডনির সমস্যাঃ যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা কখনোই কালোজিরা ভেজে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কাঁচা অবস্থায় খেতে পারেন, তাছাড়া কিডনির সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও পরিমাণে কম খেতে হবে। তবে যাদের কিডনি ডায়ালাইসিস দিতে হয় তারা কালোজিরা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
ডায়রিয়ার সমস্যাঃ যাদের ঘন ঘন ডায়রিয়া হয়ে থাকে তারা কালোজিরা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অল্প পরিমাণে খেতে পারেন আবার যাদের আইবিএস ডি এর সমস্যা রয়েছে তারাও খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা এতে আপনার ঘন ঘন ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি আপনার পেটের সমস্যা হয় তাহলে কালোজিরা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
অকাল গর্ভপাত হওয়াঃ গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে প্রথম ৩ মাসে যদি কালোজিরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই এই সময়ে না খাওয়াটাই ভালো।
পেটের ব্যথাঃ যাদের গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেটের ব্যাথা হয় তারা কালোজিরা কাঁচা অবস্থায় খাবেন না। অনেকের পেটের ব্যথা হতে পারে পেট ফুলে যেতে পারে ও পাকস্থলীর সংকোচনের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই ক্ষেত্রে কাঁচা অবস্থায় না খাওয়া ভালো।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস
কালোজিরা সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। তাই কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে হাদিসে কি বলা হয়েছে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
নবী করীম সাঃ অনেক হাদিসে এর উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন। তাই অবশ্যই এটা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। এছাড়াও এটা মসলা হিসেবে আমরা ব্যবহার করে থাকি, বিভিন্ন খাবারের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে, খাবার সুস্বাদু হয়।
এই বীজ দানা গুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। বিশেষ করে ফসফেট, আয়রন ফসফরাস ইত্যাদির ঘাটতি পূরণ করে থাকে। এজন্য যারা গর্ভবতী রয়েছেন তারা অল্প পরিমাণ করে খেতে পারেন। তাহলে আপনার আয়রন এর চাহিদা পূরণ হবে রক্তস্বল্পতা দূর হবে।
রাসুল করীম সাঃ এ সম্পর্কে বলেছেন যে, এটা হল সর্ব রোগের মহা ঔষধ। সব ধরনের রোগের ক্ষেত্রে এটা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই আপনার যদি কোন রোগব্যাধি হয় সে ক্ষেত্রে এই বীজ দানা গুলো নিরাপদে খেতে পারবেন।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাধারণত এই উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে। তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে গবেষণা করে দেখা গেছে যে এটা সব রোগের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয়। তাহলে রোগী সুস্থ হতে থাকবে। কেননা এর মাঝে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। আবার অনেকে এর তেল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে, এতে করে আপনার বড় ধরনের রোগ ব্যাধির বিরুদ্ধে কাজ করে। বিশেষ করে কালোজিরা ক্যান্সার রোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করতে পারে।
তাই এ সম্পর্কে সাহাবী খালেদ ইবনে সাদ রাঃ বর্ণনা করেছেন যে, আমরা যুদ্ধের ক্ষেত্রে যখন বের হলাম আমাদের সঙ্গে গালিব ইবনে আবজার ছিল। সে পথের মধ্যে অসুস্থ হয়ে গেল এতে করে আমরা মদিনায় ফিরে আসলাম। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে ইবনে আবি আতিক তার দেখাশোনা শুরু করলো।
তিনি আমাদেরকে বলল তোমরা এই দানাগুলো রেখে দাও। এর থেকে ৫/৭ দানা পাটাতে পিষে এবং জয়তুনের তেল এর সাথে মিক্সড করে যখন তার নাকের মধ্যে ছিদ্রগুলোতে দেওয়া হল, তখন সে আস্তে আস্তে সুস্থ হল।
এছাড়াও হযরত আয়েশা রাঃ নবী করীম সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম সাঃ বলেছেন এটা এমন একটি দানা যা সকল রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করবে। শুধুমাত্র মৃত্যু ব্যতীত। বুখারী শরীফ
কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়
অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে কালো
জিরা খেলে কি গ্যাস হয়? আসলে যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। তাই চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে কালোজিরা খেতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা এই সময়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়েই থাকে। তাই যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও পাশাপাশি বদ হজমের সমস্যাও দেখা দিবে। তাই অতিরিক্ত খাওয়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা সাধারণত বদহজমের সমস্যা ভূগতে থাকে, এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি কালোজিরা খেতে পারেন কিন্তু সেটা পরিমাণে খুবই কম খেতে হবে। যদি আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন তাহলে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া বদহজমের সমস্যা হতে পারে।
তবে যাদের বদ হজমের সমস্যা রয়েছে তারা এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য ১ চামচ পরিমাণ এর দানা নিবেন এবং ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরপরে এর দানাগুলো ভালো করে বেটে নিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে খেতে পারেন। এভাবে মাস খানেক খেলে দেখবেন পেটের সমস্যা দূর হবে ও হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
যাদের অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, পেটব্যথা করে যারা ভাজি পোড়া খেতে পারেন না। তারা অবশ্যই এটা ভেজে খাবেন না। কেননা এতে করে আরো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এর সাথে তেল মিশাবেন না, তাহলে কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। যাদের বুকে জ্বালাপোড়া করে এবং গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেটের ব্যথা করে, এসিডিটি বেড়ে যায়, প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খাবেন না।
তবে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে চান তারা নিয়মিতভাবে পরিমাণমতো এই দানাগুলো খেতে পারেন। এতে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে ১ কাপ দুধের সাথে ১ চামচ পরিমাণ এর তেল মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে খেতে পারেন। এতে করে গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তবে অবশ্যই দুধ ঠান্ডা করে খেতে হবে, তা না হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে এর সাথে ১ চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আরো সুস্বাদু হবে।
দৈনিক কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত?
আপনি যদি এর গুড়ো মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে চান, সে ক্ষেত্রে দৈনিক ১ থেকে ৩ গ্রামের মতো খাওয়া যেতে পারে এবং যদি কাঁচা অবস্থায় খান তাহলে ৫ থেকে ৭টি দানা খাওয়া যাবে।
কালোজিরা কিভাবে খাওয়া উত্তম?
এর দানা বিভিন্নভাবে খেতে পারেন, বিশেষ করে কাঁচা হিসেবে চিবিয়ে খেতে পারেন, ভেজে অথবা চা বা গরম পানি এর সাথে ৫ থেকে ৭টি দানা মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
কালোজিরা কি গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে, বেশি খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ৩ মাসের গর্ভবতী মায়েদের এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
কালোজিরা খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন?
সাধারণত সকালবেলা খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে ৫ থেকে ৭টি দানা দিয়ে খেতে পারেন, এতে হজমের সমস্যা দূর হবে।
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কি হয়?
আপনি যদি সকালবেলা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন উপকার পাবেন। বিশেষ করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করবে। এছাড়াও মানসিক চাপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি কালোজিরা নিয়মিত ভাবে খেতে পারেন, তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, এছাড়াও ঠান্ডা সর্দি, কাশি ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া গর্ভবতীর রক্তস্বল্পতা দূর করতেও সাহায্য করবে। তাই গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে।
পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url